ভুল ঠিকানার ভালোবাসা

তবুও তুমি

প্রথম পর্ব: নিঃশব্দে বলা ভালোবাসা

dream world


ঢাকার গলির ভেতর ছোট্ট এক বাসায় আজ সাদিয়া প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়িতে পা রাখল। চারদিকে ঝকঝকে আলো, নতুন জামার গন্ধ, আর অজানা একটা মানুষের সঙ্গে চিরকালের পথচলার শুরু।


ফাহিম... যার সঙ্গে মাত্র এক সপ্তাহ আগে আক্দ হয়েছে। চুপচাপ স্বভাবের ছেলেটা। এতটাই চুপচাপ যে এখনো চোখে চোখ পর্যন্ত পড়েনি ওদের।

সাদিয়ার মনে কেবল একটাই প্রশ্ন ঘুরছে,
"এই মানুষটা কি একদিন আমার নিজের হয়ে উঠবে?"

রাত ৯টার দিকে দরজা বন্ধ করে ফাহিম বলল,
"তুমি কি ভয় পাচ্ছ?"
সাদিয়া একটু লজ্জায় মাথা নামিয়ে বলল,
"না, মানে... নতুন জায়গা তো..."

ফাহিম একটা ছোট্ট হেসে বলল,
"ভয় পেও না। আমি জোর করব না কিছুতেই। ধীরে ধীরে এগোবো, যদি আল্লাহ চায় তো..."

সেই রাতে কিছুই হয়নি। শুধু একটা দোয়েল পাখির মতো শান্ত ঘুম ছিল।
সাদিয়ার মনে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি,
"ভালোবাসা কি এমনই হয়? নীরব, সংযত... অথচ গভীর?"

দ্বিতীয় পর্ব: ‘হৃদয় দিয়ে লেখা চিঠি’

ফাহিম ব্যস্ত মানুষ। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। প্রতিদিন অফিস, ক্লায়েন্ট মিটিং, আর কোডের জগতে ডুবে থাকে। কিন্তু সাদিয়ার জন্য সে রেখে যায় ছোট ছোট চিরকুট—কখনো বালিশের নিচে, কখনো টিফিন বক্সে।

একদিন সাদিয়া তার ওড়নায় বাঁধা এক চিরকুট পায়—
"তুমি শুধু আমার স্ত্রী নও, তুমি আমার দোয়ার উত্তর।"

সেদিন সাদিয়ার চোখে পানি চলে আসে। সে জানে, এই ভালোবাসা চিৎকার করে বলে না, কিন্তু তার স্পর্শে মিশে থাকে।

dream world

তৃতীয় পর্ব: ‘ভুল বোঝা, কিন্তু না-বুঝে ফেলে রাখা নয়’

এক সন্ধ্যায় সাদিয়া দেখে ফাহিম তার এক নারী কলিগের সঙ্গে ক্যাফেতে বসে। মুখটা কঠিন হয়ে যায়, বুকটা ভারী হয়ে আসে।

ফাহিম বাসায় ফিরে কিছু বলার আগেই সাদিয়া বলল,
"সবকিছু তো বুঝে ফেলেছি। আপনার ব্যস্ততার কারণ আমি বুঝি এখন।"

ফাহিম চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর সে ফাইল ব্যাগ খুলে একটা ছোট বাক্স বের করে দেয়।

ভেতরে ছিল একটা গিফট—সাদিয়ার জন্য কাস্টম ডিজাইনের তসবিহ আর একটা ছোট্ট নেকলেস
চিঠিতে লেখা—
"তোমার জন্য সব কাজ করি। কারণ, তুমি আমার জান্নাতের সাথি।"

সাদিয়ার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়।

চতুর্থ পর্ব: “বৃষ্টিভেজা নীরবতা

রাত সাড়ে দশটা।

বাইরে টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে। জানালার কাচে ফোঁটা জমে এক অদ্ভুত নকশা তৈরি করেছে। ঘরের ভেতরে নিঃশব্দ। শুধু ফাহিমের ল্যাপটপের কিবোর্ডে ক্লিক ক্লিক শব্দ। সাদিয়া সোফার কোণায় বসে বই হাতে নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে।

সাদিয়া ভাবছে,
"একদিন কি এ মানুষটা নিজে থেকে আমার দিকে তাকাবে, আমার মনের কথাগুলো বুঝবে?"

ঠিক তখনই ফাহিম হঠাৎ চোখ তুলে বলে,
"তুমি কি বৃষ্টি দেখতে পছন্দ করো?"

সাদিয়া একটু অবাক হয়ে মাথা নাড়ে, "হ্যাঁ, খুব।"

"চলো ছাদে যাই?" – ফাহিম প্রস্তাব দেয়।
সাদিয়ার চোখ চকচক করে ওঠে। এক মুহূর্তের মধ্যে যেন দুজনেই ছাদের চিলতে জায়গায় দাঁড়িয়ে। মাথার ওপর থেকে বৃষ্টি, দুজনের মাঝে অদ্ভুত দূরত্ব।

ফাহিম ছাতা ধরে। সাদিয়া একটু দূরে দাঁড়িয়ে।

হঠাৎ সে বলে,
"জানো, ছাদে প্রথম বৃষ্টিতে দাঁড়ানোর সময় আমি একটাই দোয়া করেছিলাম... যেন আমার স্ত্রী এমন হয়, যার সঙ্গে এই নিরবতা শেয়ার করতে পারি।"

সাদিয়ার কণ্ঠ কেঁপে যায়,
"তাহলে আমি কি... আমি কি সেই মানুষ?"

ফাহিম একটু হেসে বলে,
"তুমি না, তুমিই। কারণ আমি যত চুপচাপ থাকি না কেন, তোমার সামনে বলার কিছু না থাকলেও মনটা শান্ত লাগে।"

বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা, আর নীরব সেই সন্ধিক্ষণে তারা প্রথমবারের মতো পাশাপাশি দাঁড়ায়—একটা ছোট্ট ছাতার নিচে।


পঞ্চম পর্ব: “অভিমান ও অপেক্ষার নাম ভালোবাসা”

পরের কয়েকদিন ফাহিম খুব ব্যস্ত। অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে রাত ১২টা।
সাদিয়া অপেক্ষা করে, খাবার গরম করে রাখে। কিন্তু প্রতিদিন সে বলে,
"আমি খেয়ে এসেছি, তুমি শুয়ে পড়ো।"

তিন দিন, চার দিন... একরাশ অভিমান জমে যায় তার মনে।

পঞ্চম দিনে সে রান্না করেই না। নিজে কিছু খায়ও না।

রাতে ফাহিম ফিরে দেখে খাবার নেই।
"তুমি খাওনি?"

সাদিয়া বলে,
"খেয়ে ফেলেছি।"

ফাহিম জানে সে মিথ্যে বলছে। চোখের নিচের কালি আর মুখের ক্লান্তি বলে দেয় সব।

রাত তিনটায় সাদিয়ার ঘুম ভেঙে যায়—ভেতর রান্নাঘর থেকে শব্দ আসছে।
চুপচাপ গিয়ে দেখে, ফাহিম নিজে রান্না করছে—ডাল, ভাজি আর পরোটা।

সে নিচু গলায় বলে,
"আমি বুঝি তোমার অভিমান... আমার ব্যস্ততা কোনো অজুহাত হতে পারে না তোমার ভালোবাসা থেকে দূরে থাকার জন্য।"

সেদিন ওরা একসঙ্গে বসে খায়। না, শুধু খায় না—ভালোবাসা গিলতে গিলতে ভুল বোঝাবুঝি গুলে ফেলে।

more.......

ষষ্ঠ পর্ব: “চিঠির ভেতরে লুকোনো ভালোবাসা”

সেদিন ছিল সাদিয়ার জন্মদিন।
কেউ জানে না, এমনকি ফাহিমও না—এমনটাই সে ভেবেছিল।

সকাল থেকে সাদিয়া একটু একটু করে মন খারাপ করে ফেলছে। ফাহিম আজ অফিসেও চলে গেছে আগেভাগে।
একটা ছোট্ট আশাও রাখেনি সে।

বিকেল পাঁচটা। দরজায় বেল বাজে।

ডেলিভারিম্যান দাঁড়িয়ে, হাতে একটা ছোট্ট বাক্স।

ভেতরে একটা কাঠের বক্স, আর তার ওপরে বাঁধা সাদা রিবন। বক্স খুলতেই... এক গুচ্ছ শুকনো গোলাপ আর একখানা চিঠি।



dream world

চিঠির কিছু অংশ:

“জান্নাতি স্ত্রী শুধু রান্নায় বা ঘরের যত্নে নয়, বরং তার হালকা অভিমানেও আল্লাহ্‌র রহমতের গন্ধ থাকে।
আমি তোমার অভিমান বুঝতে শিখেছি, সাদিয়া।
আজকে তোমার জন্মদিন। তুমি পৃথিবীতে এসেছিলে একদিন, কিন্তু আমার জীবনে এসেছো প্রতিদিন।
আমি তোমাকে চিৎকার করে বলিনি ‘ভালোবাসি’, কিন্তু চুপচাপ বলি—তুমি আমার দোয়ার উত্তর।”

সাদিয়া কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি ধরে, গালে গড়িয়ে পড়ে একফোঁটা অশ্রু।
ওর মন ভরে যায়। ফাহিম জানে—জানে সবকিছু। জানে তার জন্মদিন, তার পছন্দের ফুল, তার অভিমান... আর জানে ভালোবাসতে।

রাতে ফাহিম বাড়ি ফিরেই বলে,
"আজ আমি শুধু তোমার জন্য রান্না করবো। কেবল একটা অনুরোধ—তুমি আমার পাশে বসে থাকবে, কথা বলবে, হাসবে... কারণ তুমিই আমার সবচেয়ে প্রিয় অভ্যাস।"

সপ্তম পর্ব: “তোমার স্পর্শে আমার চিরন্তন ঈদ”

এই প্রথম, তারা একসাথে ঈদ উদযাপন করছে।
নবদম্পতির জীবনে প্রথম ঈদ মানেই বিশেষ কিছু, একটু আলাদা অনুভব… একটু আলাদা ভালোবাসা।

সাদিয়া অনেক ভেবেচিন্তে তার মায়ের পছন্দের একটা ফিরোজা রঙের শাড়ি পরেছে।
পরে আয়নায় তাকিয়ে নিজেকেই চিনতে পারছিল না—একটা লজ্জা, একটা আনন্দ, একটা নতুনত্ব সব মিলেমিশে গেছে তার চাহনিতে।

সেই মুহূর্তেই দরজার কাঁচের ওপাশ থেকে ফাহিম তাকিয়ে ছিল।

চোখে ছিলো কিছু অদ্ভুত মুগ্ধতা।

— “তুমি কি জানো, এই রঙটা তোমার চেয়ে সুন্দর না... কিন্তু এই রঙ তোমায় আরও সুন্দর করে তুলেছে,”
বলেই ফাহিম একটু হেসে মাথা নিচু করে নিল।

সাদিয়ার গাল লাল হয়ে গেল।

ঈদের নামাজ শেষে তারা একসাথে মিষ্টিমুখ করলো।
সাদিয়া নিজ হাতে বানানো সেমাই এগিয়ে দিলো।

— “যখন তুমি রান্না করো, শুধু স্বাদ না… দোয়া মেশানো থাকে মনে হয়,” ফাহিম বলল।

দিনটা কাটলো একসাথে ছোট ছোট মুহূর্ত দিয়ে—একসাথে কোরআন তিলাওয়াত, কিছু আত্মীয়ের বাসায় যাওয়া, খোলা বারান্দায় বাতাসে বসে গল্প করা...

রাতের দিকে হালকা বৃষ্টির ছোঁয়া।

ফাহিম বলল, “চলো, ছাদে যাই। এক কাপ চা আর ঈদের রাত… দুইটা জিনিসেই আল্লাহর রহমতের অনুভব হয়।”

ছাদে গিয়ে সাদিয়া একটু চুপচাপ হয়ে গেল।

— “কি হলো?” ফাহিম জিজ্ঞেস করতেই সে আস্তে বলল,
“আমার তো এই প্রথম কারো সঙ্গে এমন সময় কাটানো… জানো, মনে হয় আমি বুঝতে শিখেছি—স্বামী স্ত্রী শুধু একটা সম্পর্ক না, এটা একটা ইবাদত… আর আমি কৃতজ্ঞ, কারণ তুমি আমাকে সেই ইবাদতে ধৈর্য দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে পথ দেখাচ্ছো।”

ফাহিম একটু থেমে তার কপালে চুমু দিল।

— “তুমি আমার জান্নাতের পথ সাথী, সাদিয়া… শুধু পৃথিবীর না।”

সেদিনের রাতটা ছিল ঈদের রাতের চেয়েও বেশি পূর্ণ।


অষ্টম পর্ব: “একটি না বলা কথা… আমাদের মাঝখানে”

সন্ধ্যার নরম আলোয় ফাহিম বারান্দায় বসে ছিল। হাতে একটা চিঠি।
চিঠিটা পুরনো… অনেকটাই বিবর্ণ… ঠিক যেমন কিছু না বলা কথার রং হয়।

সাদিয়া হঠাৎই ভেতর থেকে বের হয়ে এলো।
— “ফাহিম? এখানে বসে আছো? এতক্ষণ ধরে কী দেখছো?”

সে কিছু না বলে চিঠিটা গোপনে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলল।

— “কিছু না... পুরনো একটা কবিতার খাতা ছিল, সেটাই দেখছিলাম,”
ফাহিমের চোখের পলকে হালকা কাঁপুনি ছিল, কিন্তু হাসিটা ঠিকই ছিল মুখে।


dream world


সাদিয়ার মুখে সেই চিরচেনা শান্ত হাসি ছিল না।

তার চোখে পড়ে গেছে—চিঠি।

তার ভেতরে হালকা শঙ্কা, কিন্তু সে কিছু বলল না।
চুপচাপ বসে পড়লো তার পাশে।

— “তুমি কি আমার কাছে সব কিছু খোলামেলা বলতে পারো না, ফাহিম?”
আবছা গলায় প্রশ্ন করলো সাদিয়া।

ফাহিম একটু চমকে তাকাল, যেন সে প্রশ্নটা আশা করেনি।

— “সাদিয়া, কিছু কথা থাকে… যেগুলো বললেই হয়তো আমাদের মাঝখানে একটা দেয়াল তৈরি হবে। আমি চাই না কোনো দেয়াল আসুক।”

— “আর সেই দেয়ালের ভিতর থেকে তুমি কষ্ট লুকিয়ে যাবে?”
সাদিয়া ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো।

— “ফাহিম, জানো… আমি হয়তো অনেক কিছু বুঝি না। কিন্তু আমি চাই—তুমি আমাকে শুধু একটা স্ত্রী মনে না করো। আমাকে একজন বন্ধু ভেবে সব বলো। কারণ আমরা যদি না বলার জায়গায় পৌঁছে যাই, তাহলে একদিন হয়তো একে অপরকে হারিয়ে ফেলবো।”

ফাহিম কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল—
— “একটা চিঠি ছিল… আমার পুরনো সময়ের একজন মানুষ লিখেছিল, অনেক আগের কথা… যাকে নিয়ে কিছু না বলার জন্যই আজও আমি তোমার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। আমি চাই না আমার অতীত, আমাদের বর্তমানের মাঝে এসে দাঁড়াক।”

সাদিয়া এবার একটু হাসল।
— “আমি তোমাকে অতীত নিয়ে জবাবদিহি চাই না। আমি চাই তুমি ভবিষ্যতের জন্য আমাকে বন্ধু বানাও।”

ফাহিম এবার সত্যি করে তাকাল সাদিয়ার দিকে।
তার চোখে কিছু একটার শান্তি ফিরে এল।

— “তুমি জানো, সাদিয়া? তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে পবিত্র অধ্যায়… তুমি জান্নাতের পথের ঠিকানা।”

সেদিন তারা একসাথে নামাজে দাঁড়াল।
চোখে ছিল অশ্রু, কিন্তু কপালে ছিল সেজদাহ।

শেষ পর্ব: “ভালোবাসা… জান্নাতের দরজার মতো”

সন্ধ্যার আকাশে হালকা রঙ ছড়াচ্ছে।
সাদিয়া ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে কিছুটা ভাবনার ছাপ… একটু ভয়, একটু ভালোবাসা… আর একটু খালি একটা অনুভূতি।

ফাহিম দরজায় এসে দাঁড়ায়। তার হাতে একটা ছোট্ট গিফট বক্স।

— “সাদিয়া,”
সাদিয়া ধীরে ফিরে তাকায়,
— “হ্যাঁ?”

— “তুমি কি কখনো ভয় পাও যে আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো?”

সাদিয়া একটু চুপ করে থাকে, তারপর মৃদু হাসে,
— “একটা সময় খুব ভয় পেতাম… এখন আর পাই না। কারণ আমি জানি, তুমি হয়তো মানুষ হিসেবে দূরে যেতে পারো, কিন্তু একজন মুমিন হয়ে তুমি জান্নাত চাও। আর জান্নাত পেতে হলে… আমাকে নিয়ে যেতে হবে, তাই না?”

ফাহিম এবার একটু হেসে কাছে আসে।

— “তুমি জানো, আমি সবসময় চেয়েছি তোমার মতো কাউকে। যার দুনিয়া আমার, আবার আখিরাতেও আমার হবে। আমি অনেক ভুল করেছি, কিন্তু তুমি আমাকে ঠিক পথটা চিনিয়ে দিয়েছো।”

সে ধীরে সেই ছোট্ট গিফট বক্সটা খুলে দেখায়।

ভেতরে একটা ছোট্ট গোল্ড প্লেটেড লকেট—
তাতে লেখা ছিল: “সাবর – ভালোবাসার আসল নাম”

সাদিয়া তাকিয়ে থাকে… চোখ ভিজে যায়।
সে ধীরে বলল—
— “এই লকেটটা আমার নয়, ফাহিম। এটা আমাদের ভালোবাসার প্রতীক। এটা তোমার ভেতরের সেই মানুষটার জন্য, যে সব ভুল ভুলে, শুধু আল্লাহর জন্য ভালোবাসতে শিখেছে।”

— “তাহলে রাখি এটা?”
— “না, এটা আমরা দু’জন মিলে সেই ছেলের গলায় পরাবো, যার নাম আমরা রেখেছি ‘ইলহাম’। কারণ সে আমাদের ভালোবাসা থেকেই এসেছে… আর তার জন্মই হবে ভালোবাসার নতুন অধ্যায়।”

ফাহিম আর সাদিয়া একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।
দুই হৃদয়, এক বিশ্বাস, এক পথ…
নামাজে দাঁড়ানো সেই মানুষদুটো এবার একে অপরকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে—জান্নাতের দিকে।

dream world

শেষ লাইনে...

ভালোবাসা মানে কেবল রোমান্স নয়।
ভালোবাসা মানে—ভুলের পরও পাশে থাকা, কঠিন সময়েও হাত না ছেড়ে দেওয়া,
আর সবশেষে, আল্লাহর জন্য একে অপরকে চাওয়া।