ভুল ঠিকানার ভালোবাসা

কুঁচবনের রাজকন্য


কুঁচবনের রাজকন্য

এক ছিল ছোট্ট একটা রাজ্য। সেই রাজ্যের মাঝখানে ছিল এক গভীর কুঁচবন। বনটা সবসময় কেমন যেন অন্ধকারে ঢেকে থাকত। লোকেরা বলত, সেই বনে নাকি এক ভয়ানক দানব থাকে। কিন্তু রাজ্যের ছোট্ট রাজকন্যা মিতি এসব গল্পে একটুও ভয় পেত না।

মিতি ছিল খুব সাহসী আর দয়ার মন। একদিন সে ঠিক করল, কুঁচবনে গিয়ে দেখবে, আসলে ওখানে কী আছে। ভোর হতে না হতেই সে তার প্রিয় সোনালি ঘোড়ায় চেপে রওনা দিল।

বনের গভীরে পৌঁছে মিতি শুনতে পেল কাঁদার শব্দ। শব্দের দিকে এগিয়ে গিয়ে সে দেখল, একটা বিশাল দানব গাছের নিচে বসে কাঁদছে। মিতি অবাক হয়ে বলল,
“তুমি তো দানব! তুমি কাঁদছ কেন?”

দানব মাথা তুলে বলল, “আমি দানব নই। আমাকে মানুষ দানব ভাবে। আমার শুধু একজন বন্ধু দরকার। কিন্তু সবাই আমাকে ভয় পায়।”

মিতি মুচকি হেসে বলল, “তাহলে আজ থেকে আমি তোমার বন্ধু।”

এইভাবে মিতি আর দানবের বন্ধুত্ব শুরু হলো। মিতি রাজ্যে ফিরে গিয়ে সবাইকে বলল, দানব আসলে খুব ভালো মনের। সেই থেকে লোকেরা আর কুঁচবনকে ভয় পেত না। রাজ্যটা আবার আনন্দে ভরে উঠল।

শিক্ষা: ভয়ের পেছনে কখনও সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আগে জানো, তারপর বিচার করো।

Click for more.... Click