ভুল ঠিকানার ভালোবাসা

এক ভেজা বিকেলের গল্প

বিকেলের গল্প

A young man standing alone under a college corridor during light rain, gazing at a girl with an open book, her long hair slightly wet from the drizzle, lost in thought

বৃষ্টি পড়ছিল থেমে থেমে। কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চুপচাপ চারপাশ দেখছিল মেহেরাব। তার চোখে ক্লান্তি, মনে অদ্ভুত এক শূন্যতা। হঠাৎই চোখ গেল সামনের বেঞ্চের দিকে। একজন মেয়ে বসে আছে, মুখে বই, চোখে মনোযোগ, আর মাথায় খোলা চুলে ভিজে যাচ্ছে একচিলতে শেষ বৃষ্টির ফোঁটা।

মেয়েটার নাম আয়রা।

মেহেরাব অনেক দিন ধরে চেনে আয়রাকে। একই ক্লাসে পড়ে, মাঝেমাঝে কথা হয়, কিন্তু খুব বেশী ঘনিষ্ঠতা নেই। অথচ আজ, অদ্ভুতভাবে, তার মনে হলোএই মেয়েটার হাসি যেন মন ভালো করে দেয়, চোখে একধরনের শান্তি আছে।

"তুমি ভিজে যাচ্ছো,"—বলতে গিয়েও থেমে গেল মেহেরাব।

সে জানে, আয়রা খুব সাবলীল নয়। নিজের জগতে থাকে, কারো সঙ্গে সহজে মিশে না। তবু আজ কিছু একটা বলতে ইচ্ছে করছে।

সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বলল, “তুমি যদি বসতে না চাও, ভেতরে আসো। বাইরেটা ভিজছে।

আয়রা তাকাল। খুব সহজ, নির্ভেজাল এক দৃষ্টিতে। তারপর হালকা মাথা নেড়ে বলল, “ভালো লাগছে বৃষ্টিতে থাকতে। মাঝে মাঝে এই ভেজাটাও দরকার হয়, মনটা ধুয়ে যায়।

সেই কথায় মেহেরাব যেন স্তব্ধ হয়ে গেল। এত গভীর আর সুন্দর একটা কথায় তার ভেতরটা কেঁপে উঠল। একটা নতুন আকর্ষণ জন্ম নিল আয়রার প্রতি। সে বুঝতে পারল, এই মেয়েটা সাধারণ নয়।

 

বন্ধুত্বের শুরু

এরপর থেকেই তাদের কথাবার্তা একটু বেড়ে গেল। ক্লাসের পরে মাঝে মাঝে ক্যান্টিনে দেখা, একসাথে লাইব্রেরিতে বই খোঁজা, আর ধীরে ধীরে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব।

আয়রার জীবনে খুব বেশি মানুষ ছিল না। তার বাবা-মা বিদেশে থাকেন, সে দাদার সঙ্গে থাকে ঢাকায়। একাকীত্ব তার চিরসঙ্গী। মেহেরাব ছিল সেই প্রথম মানুষ, যার সামনে সে ধীরে ধীরে খুলে যেতে লাগল।

মেহেরাব তার গল্প শুনত, আয়রার বলা ছোট ছোট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিত। আয়রার প্রিয় কবিতা, মায়ের সঙ্গে শেষ দেখাসব কিছু শুনত মেহেরাব, মন দিয়ে।

একদিন আয়রা বলল, “তোমার সঙ্গে কথা বললে মনে হয়, আমি নিজের কাছেই খোলা থাকি। জানো, এটা কতো বড় পাওয়া?”

মেহেরাব চুপ করে ছিল। সে শুধু অনুভব করছিলআয়রার হাসির মধ্যে একটা অভিমান লুকিয়ে থাকে, তার কথায় অনেক না বলা যন্ত্রণার ছোঁয়া আছে। আর সেগুলোকে সে আপন করে নিতে চাইছিল।

 


অনুভবের শুরু

কিছু কিছু সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে উঠে, কিন্তু একসময় এমন জায়গায় এসে দাঁড়ায়, যেখানেবন্ধুশব্দটা যথেষ্ট মনে হয় না।

মেহেরাব নিজের ভিতরেই একটা টান অনুভব করত। সে জানত না, এটা ভালোবাসা কি না। কিন্তু আয়রার অনুপস্থিতি তার দিন নষ্ট করে দিত, আর তার হালকা হাসি পুরো বিকেলটা রঙিন করে তুলত।

আয়রাও বুঝতে পারছিল কিছু একটা বদলাচ্ছে। মেহেরাবের জন্য অপেক্ষা করত, তার মেসেজ না পেলে খারাপ লাগত। অথচ বলার সাহস হচ্ছিল না।

এক সন্ধ্যায়, তারা বইমেলার ভেতর দিয়ে হাঁটছিল। হঠাৎ আয়রা থেমে বলল, “মেহেরাব, তুমি কখনো ভয় পাও না?”

Two college students sitting together in a cozy campus canteen, smiling softly while sharing a book; gentle bond forming between them.

কিসের ভয়?”

ভালোবাসা। মানুষ যখন কারো খুব কাছে চলে আসে, তখন যদি হারিয়ে যায়?”

মেহেরাব কিছু বলল না। সে শুধু আয়রার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল। সেই চোখে ছিল এক আকাশ কথাভয়, টান, এবং কিছু না বলা ভালোবাসা।

না বলা কথার ভার

দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিল। আয়রা আর মেহেরাবের বন্ধুত্ব গাঢ় হচ্ছিল। কিন্তু কখনো কখনো, খুব আপন মানুষকেও সব কথা বলা যায় না। হয়ত ভয় হয়, হয়ত হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।

আয়রা বুঝে ফেলেছিল, তার অনুভবের নামভালোবাসা কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছিল না। কারণ সে জানত, ভালোবাসা মানেই দায়িত্ব। আর তার নিজের জীবন এখনো এতটুকু স্থির না।

মেহেরাবও আয়রার প্রতি টান অনুভব করত, কিন্তু একটা দ্বিধা কাজ করত মনেএই অনুভূতি যদি একপাক্ষিক হয়?

তারা দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসত, অথচ কেউ কাউকে বলেনি।
তাদের ভেতরে জমে উঠছিল কিছু না বলা কথা, ছোট ছোট অভিমান, অপূর্ণতা

 


দূরত্বের শুরু

একদিন, হঠাৎ করেই আয়রা ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিল। ফোন রিসিভ করে না, মেসেজের উত্তর দেয় না। মেহেরাব দিশেহারা হয়ে পড়ল।

দুদিন, তিনদিনএক সপ্তাহ কেটে গেল।

অবশেষে আয়রার এক বান্ধবীর মাধ্যমে খবর পেলআয়রার দাদা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আয়রা সেই নিয়ে খুব টেনশনে আছে, কলেজে আসার মত পরিস্থিতি নেই।

মেহেরাব দৌড়ে গেল হাসপাতালে। কিন্তু গিয়ে দেখে, আয়রা তার সঙ্গে চোখাচোখিও করল না। শুধু বলল,
"
তুমি আসলে ঠিক করো নি, মেহেরাব। আমার জীবনে এমন সময় এলে আমাকে দূরে থেকে সাপোর্ট করতে হতো। তুমি এসে পরিস্থিতিটা আরও জটিল করেছো।"

মেহেরাব থমকে গেল।

সে তো শুধু পাশে থাকতে চেয়েছিল।

কিন্তু আয়রার চোখে সে এখন বিরক্তির কারণ।

সেদিন প্রথমবার, মেহেরাব বুঝলভালোবাসা মানেই সবসময় উপস্থিত থাকা নয়, অনেক সময় দূরে থেকেও ভালোবাসা প্রমাণ করতে হয়।

 

নীরব প্রতীক্ষা

এরপর শুরু হলো নিঃশব্দ প্রতীক্ষা।
মেহেরাব কোনোদিন আর আয়রাকে বিরক্ত করেনি।
কিন্তু প্রতিদিন ক্লাসের দরজায় একবার চোখ রেখেছেযদি আয়রা আসে!

তার চোখ খুঁজে ফিরত সেই চেনা চুল, সেই হাসি, সেই গলায় বলাকেমন আছো?”

আয়রা আর এল না।

দিন পেরিয়ে গেল মাসে, আর মাস পেরিয়ে এক বছর 

আবার দেখা

দুই বছর পর, মেহেরাব ঢাকায় একটি কর্পোরেট অফিসে চাকরি শুরু করে।
প্রথম দিন অফিস ক্যান্টিনে ঢুকতেই বুক কেঁপে উঠলসামনেই বসে আছে আয়রা!

সেই চেনা মুখ, কিন্তু চোখে ক্লান্তির ছাপ।
তার সঙ্গে ছিল কয়েকজন কলিগ, এবং চোখে চশমা।

মেহেরাব কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল, তারপর ধীরে গিয়ে বলল,
"
হাই আয়রা। চিনতে পেরেছো?"

আয়রা তাকিয়ে থাকল কয়েক মুহূর্ত। তারপর মৃদু হাসল,
"
তুমি এখনো সেই মেহেরাব, তাই না? যে একটা সময় পুরো ক্যাম্পাস চষে বেড়াতো আমার খোঁজে?"

মেহেরাব হাসল,
"
হ্যাঁ, সেই আমিই। এখনো বদলাইনিশুধু অপেক্ষা শিখেছি।"

 

শেষটা কেমন হবে?

তাদের মধ্যে আবার যোগাযোগ শুরু হলো। এবার অনেক পরিণত, অনেক শান্ত, আর অনেক বেশি গভীর।

একদিন মেহেরাব জিজ্ঞেস করল,
"
আয়রা, তুমি কি জানো, আমি তখন কেন কিছু বলিনি?"

আয়রা মৃদু হেসে বলল,
"
জানি। কারণ আমিও তো কিছু বলিনি, তাই না?"

Two adults reuniting in a modern office cafeteria, locking eyes after years, surprise and nostalgia reflecting in their expressions."
দুজনেই চুপ।

তারপর আয়রা বলল,
"
মেহেরাব, এখন যদি বলিআমি এখনো তোমাকে অনুভব করি?"

মেহেরাব বলল,
"
তাহলে এবার বলা শেষ করো। কারণ আমি তোমাকে আজও ভালোবাসি। ঠিক আগের মতো।"

এইবার আয়রা কোনো উত্তর দিল না। সে শুধু চুপচাপ হাতটা বাড়িয়ে দিল মেহেরাবের দিকে।

আর এভাবেই,
তোমাকে ছাড়া আমি নাএই লাইনটি হয়ে গেল জীবনের সবচেয়ে সত্যি বাক্য।

সংসার নয়, স্বপ্ন!

বিয়ের এক বছর পর আয়রা আর মেহেরাব একটা ছোট ফ্ল্যাটে থাকে। চাকরি, অফিস, সংসারসবকিছু একরকম রুটিনে চলছে। কিন্তু, স্বপ্ন?

আয়রা চেয়েছিল একটা বই বের করুকনিজের লেখা, নিজের নামের একটা অস্তিত্ব।

আর মেহেরাব?
সে চেয়েছিল একটা স্টার্টআপ দাঁড় করাকনিজের মতো করে, স্বাধীনভাবে।

এই দুইটা স্বপ্ন নিয়ে চলতে চলতেই একদিন এক কথায় ঝগড়া।

আয়রা বলল, “তোমার সময় কেবল তোমার স্টার্টআপের জন্য! আমি কে? আমি শুধু রান্নার মেশিন?”

মেহেরাব বলল, “তোমার বই লেখা নিয়ে আমি কিছু বলি না! আমিও চাই তুমি সফল হও। কিন্তু সংসার কি একার দায়িত্ব?”

এই প্রথম, তাদের কথা-কাটাকাটি হলো খুব তীব্রভাবে।

দূরত্ব ফিরে এলো

তারা এক ছাদের নিচে থেকেও যেন আলাদা হয়ে গেল।

মেহেরাব অফিস থেকে ফিরেও ফোনে মিটিং করে, আয়রা বই নিয়ে রাত জেগে লেখে।
তাদের কথা হয়তবে প্রয়োজনের, ভালোবাসার নয়।

আয়রা একদিন তার ডায়েরিতে লিখল

ভালোবাসা কি শুধুই একসাথে ঘুমানো? নাকি, একসাথে ক্লান্তিও ভাগ করে নেওয়া?”

মেহেরাব নিজেকে প্রশ্ন করছিল

ভালোবাসা কি এতটাই দুর্বল যে দায়িত্বের চাপে ফেটে যাবে?”

 

ফাইনাল প্রশ্ন

এক রাতে আয়রা বলল,
মেহেরাব, আমরা কি আগের মতো নেই?”
মেহেরাব দীর্ঘশ্বাস ফেলল, “না, নেই।

আয়রার চোখে জল,
তাহলে এবার কি সত্যিই শেষ?”

মেহেরাব চুপ করে ছিল কিছুক্ষণ।
তারপর খুব আস্তে বলল,
না আয়রা, এবার শুরু। আগের মতো নয়, এবার পরিণতভাবে।
এবার ভালোবাসা মানে শুধু হাত ধরা নয়,
ভালোবাসা মানে একে অন্যের পাশে ছায়া হয়ে থাকা।

 

ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়

তারা দুজনেই কিছুদিনের জন্য ছুটি নেয়।

ঘুরতে যায় কোথাও, ফিরে পায় হারিয়ে যাওয়া গল্প।

মেহেরাব নিজের স্টার্টআপে আয়রাকে নিয়ে নেয়সে তাদের কনটেন্ট হেড।

আয়রার বই ছাপা হয়, প্রথম প্রুফে লেখা থাকে"এই বইটি উৎসর্গ করা আমার প্রিয় মেহেরাবকেযে আমাকে শুধু ভালোবাসেনি, বরং বিশ্বাস করেছে।"

তাদের জীবনের ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো

আর এবার, সেটা শুধু আবেগে নয়, দায়িত্বে, বিশ্বাসে, আর স্বপ্নে গাঁথা।


পাশাপাশি থাকা, মন মেলেনি

আয়রা আর মেহেরাব একসঙ্গে আছেন ঠিকই, কিন্তু তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তি।
ভালোবাসা আছে, কিন্তু যেন লুকিয়ে থাকে প্রতিদিনের যন্ত্রনায়।
সকাল শুরু হয় অফিসের তাড়া দিয়ে, রাত শেষ হয় ডেডলাইনের স্ট্রেসে।

একদিন আয়রা রান্নাঘরে কাজ করতে করতে বলল,
আমরা কি এখন কেবল রুটিনে বাস করছি, মেহেরাব?
তোমার চোখে আগে যে আগুনটা দেখতাম, সেটা কোথায়?”

মেহেরাব পেছন থেকে এসে আয়রার কাঁধে হাত রাখল,
আগুনটা এখন একটু ভেতরে, আয়রা।
আগে আমাদের হাতে সময় ছিল, এখন হাতে দায়িত্ব।
ভালোবাসা কমেনি, রূপ বদলেছে।

আয়রা চোখ তুলে তাকাল।
তার চোখে কিছুটা অভিমান, কিছুটা শান্তি।

 

ছোট ছোট ফিরে আসা

একদিন অফিস থেকে ফিরেই মেহেরাব বলল,
চলো আয়রা, আজ বাইরে খেতে যাই। তোমার প্রিয় রেস্টুরেন্টে।

আয়রা অবাক হয়ে তাকাল।
তুমি তো কাজের চাপে এসব ভুলেই গেছো!”

মেহেরাব হাসল,
ভুলিনি। শুধু সময় খুঁজছিলামআজ পেয়ে গেছি।

সেদিন তারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাতে হাত রেখে গল্প করেছিল।
আগের মতো হাসি, আগের মতো ঠাট্টা, এমনকি একটা ছোট্ট প্রেমের ঝগড়াও।

রাতে বাড়ি ফিরে আয়রা ডায়েরিতে লিখল

ভালোবাসা শুধু গোলাপ দেওয়া নয়,
মাঝে মাঝে হুট করে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়াটাও ভালোবাসা।

 

একটা নীরব পরীক্ষা

কয়েকদিন পর আয়রার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
আয়রাকে যেতে হলো গ্রামের বাড়ি, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য।

মেহেরাব প্রথমবার আয়রার অনুপস্থিতিতে বুঝল
বাসাটা কেমন ফাঁকা লাগে,
ভাতের গন্ধে আয়রার হাতের ছোঁয়া ছিল,
সকালের চায়ের কাপটা পর্যন্ত আয়রার মুড বুঝে বানানো থাকত।

সে ফোনে বলল,
তুমি এভাবে ফাঁকা ফেলে গেলে বুঝলাম, তুমি না থাকলে আমি কিছুই না।

আয়রা হেসে বলল,
ভালোবাসা এবার টের পেয়েছো, তাই না?”

 


আবার নতুন করে

আয়রা যখন ফিরে এল, মেহেরাব তাকে বলল,
চলো, আমাদের আবার একদম শুরুতে ফিরি।

আয়রা চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
মানে?”

মেহেরাব একটা ছোট্ট কাগজ তুলে ধরল
এই ফ্লায়ারটা দেখো। এখানে লেখা আছে ‘Couple Creative Workshop’—
যেখানে দম্পতিরা একসঙ্গে গল্প লিখবে, একে অপরকে নিয়ে।

আয়রার চোখ ছলছল করে উঠল।
তুমি কি আমার লেখালেখিকে এতটা গুরুত্ব দাও?”

মেহেরাব বলল,
তোমার স্বপ্ন মানেই আমার ভালোবাসা, আয়রা।

 

ভালোবাসার নতুন রূপ

ওয়ার্কশপে তারা মিলে লিখল একটা ছোট গল্প
একটা দম্পতির গল্প, যারা একে অপরকে ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে খুঁজে পায়।

ওয়ার্কশপ শেষে আয়রার হাতে সার্টিফিকেটের সঙ্গে একটা ছোট খাম।
খাম খুলে আয়রা দেখল, একটা চিরকুট:

তোমাকে আবার নতুন করে ভালোবাসি, আয়রা।
তুমি শুধু আমার স্ত্রী নও, তুমি আমার জীবনের গল্প।মেহেরাব

আয়রা চুপ করে মেহেরাবের দিকে তাকিয়ে ছিল।
তারপর ধীরে ধীরে বলল,
চলো, এবার শুধু গল্প নাআমাদের জীবনটাকেই আবার নতুন করে লিখি।