ভুল ঠিকানার ভালোবাসা

শিশির ভেজা ভালোবাসা

ভালোবাসার গল্প: আবির এবং তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

অচেনা সম্পর্কের শুরু

নতুন সংসারে পদার্পণ


ভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

রাত তখন গভীর, পুরো বাড়িটা নিস্তব্ধ। শুধু ঘড়ির টিকটিক শব্দ শোনা যাচ্ছে। নতুন সাজানো ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে তিশা, একদম চুপচাপ। বয়স মাত্র ১৬, সদ্য কলেজে ওঠা এক চঞ্চল মেয়ে। অথচ আজ তার বিয়ে হয়ে গেছে! সে এখন একজন বিবাহিত মেয়ে, একজনের স্ত্রী!

ঘরের অন্যপাশে সোফায় বসে থাকা ছেলেটার নাম আবির। বয়স ২৬, পরিপক্ক গম্ভীর স্বভাবের। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে একটা ভালো কোম্পানিতে। সে তিশার এই বিয়েতে মোটেও রাজি ছিল না, কিন্তু পরিবারের চাপে তাকে রাজি হতে হয়েছে। ছোট্ট মেয়েটাকে দেখে সে বুঝতেই পারছে, এই সম্পর্ক বোঝার মতো বয়স বা মানসিকতা ওর হয়নি।

তিশার কাঁচুমাচু মুখ দেখে আবির একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
— "
শোনো, আমি তোমাকে কোনো চাপ দেব না। তুমি যেমন ছিলে, তেমনই থাকবে। তোমার পড়াশোনা, বন্ধু-বান্ধব, সবই চলবে। আমি চাই না তুমি এই সম্পর্কের বোঝা নিয়ে দম বন্ধ করে ফেলো।"

তিশা একটু সাহস করে মুখ তুলে তাকায়। সে কি সত্যি এসব বুঝবে? তার তো এখনো বাবার কাছে লুকিয়ে চকলেট চাওয়ার অভ্যাস যায়নি!

— "মানে? তাহলে আমি কি তোমার বউ না?"
তিশার সরল প্রশ্নে আবির কিছুক্ষণ চুপ থাকে, তারপর মৃদু হেসে বলে,
— "
আই হ্যাভ নো আইডিয়া!"

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কের প্রথম অস্বস্তি

এই বিয়েটা হয়েছে পারিবারিক কারণে। তিশার বাবার সাথে আবিরের বাবার অনেক দিনের বন্ধুত্ব। এক দুর্ঘটনার পর তিশার বাবা চেয়েছিলেন, তার মেয়ে এমন কারো হাতে থাকুক যে ওকে আগলে রাখবে। আর সেই দায়িত্ব এসে পড়ল আবিরের ঘাড়ে।

কিন্তু দায়িত্ব আর সম্পর্ক কি এক জিনিস?

বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন তিশার মন খারাপ থাকত, কারণ তার বান্ধবীরা সবাই বলত, "তুই তো এখন আন্টি হয়ে গেছিস!" অথচ নিজেকে আন্টির মতো মনে করে না!

আর আবির? সে অফিসের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সকালে চলে যায়, রাতে ফেরে। মাঝে মাঝে তিশার সঙ্গে সামান্য কথা হয়, তবে সেটা ঠিক স্বামী-স্ত্রীর মতো নয়।

একদিন, ছুটির দিনে আবির বাসায় থাকতেই তিশা এসে বলল,
— "
আচ্ছা, তুমি এত সিরিয়াস কেন?"
আবির অবাক হয়ে তাকাল,
— "
মানে?"
— "
মানে তুমি কি সবসময় এমনই কাঠখোট্টা?"

আবির একটু হেসে ফেলল।
— "
তুমি কি আমাকে কমেডি সিনেমার নায়ক মনে করো?"

তিশা মুখ ফুলিয়ে বলল,
— "
তাও ভালো। কমপক্ষে হাসতে জানো!"

এই প্রথম, তিশা আবিরের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলল।


শিশির ভেজা ভালোবাসাভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

দূরত্ব, ভুল বোঝাবুঝি এবং অধিকারবোধ

তিশার অভিযোগ: সম্পর্ক কি আসলেই পরিণত?

তিশার এখনো মাঝে মাঝে মনে হয়, এই বিয়েটা একটা ভুল।

আবির সকালে অফিস চলে যায়, রাতে ফিরে নিজের জগতে ব্যস্ত থাকে। তার সাথে তিশার কথাবার্তাও কম। এমনকি দুজন এক রুমে থাকলেও যেন দুই ভিন্ন জগতে বাস করে।

তিশার অনেক অভিযোগ। সে ভেবেছিল, বিয়ে মানে দুইজন মানুষের একসাথে সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া, মজা করা। কিন্তু এখানে সবকিছুই সিরিয়াস, নিরামিষ!

একদিন, দুপুরবেলা। তিশা বসে আছে লিভিং রুমে, মোবাইলে স্ক্রল করছে। তখনই আবির ফোন দিয়ে বলল,
— "
আমি একটু দেরি করে আসব, তুমি ডিনার করে নিও।"

তিশার মন খারাপ হয়ে গেল।
— "
তুমি প্রতিদিন দেরি করো কেন?"
— "
অফিসের কাজ থাকে।"
— "
অফিসের কাজ থাকলেই কি সংসারের কোনো দায়িত্ব থাকবে না?"

আবির কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
— "
তুমি তো ছোট। এসব বোঝার দরকার নেই।"

এই কথাটা শুনেই তিশার মেজাজ বিগড়ে গেল!
— "
তোমার কাছে আমি সবসময় ছোট! আমি কি আসলেই এতটাই বাচ্চা?"

আবির বুঝতে পারল, আজ আর ঝামেলা এড়ানো যাবে না।


প্রথম বড় ভুল বোঝাবুঝি

তিশার অপেক্ষা আবিরের দেরি

তিশার দিনগুলো কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠছে। আবিরের সঙ্গে সে ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারছে না। ওর মনে হয়, আবির তাকে বুঝতে চায় না।

একদিন সন্ধ্যায়, তিশা আবিরের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু রাত ১০টা বাজলেও সে ফিরল না। ফোনও ধরছিল না!

তিশার রাগে গা জ্বলছিল। "এই লোকটা আমার স্বামী, নাকি কোনো গেস্ট? নিজের ইচ্ছেমতো আসে, ইচ্ছেমতো চলে যায়!"

অবশেষে, রাত ১১টায় আবির বাসায় ফিরল। মুখটা ক্লান্ত, চোখেমুখে অবসাদ। তিশা কিছু বলার আগেই সে বলল,
— "
খুব ক্লান্ত লাগছে, প্লিজ এক গ্লাস পানি দাও।"

তিশার রাগ তখন সপ্তমে।
— "
তোমার জন্য বসে থাকতে থাকতে আমার ঘুম চলে গেছে, আর তুমি এসে শুধু পানি চাও?


শিশির ভেজা ভালোবাসাভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

দূরত্ব, অভিমান আর অজানা অনুভূতি

তিশার অনুভূতির পরিবর্তন

তিশা আর আগের মতো নেই। তার চঞ্চলতা কমে গেছে, আর এখন তার মনেও একটা অদ্ভুত প্রশ্ন খেলা করছেসে কি সত্যিই আবিরকে ভালোবেসে ফেলেছে? তিশার মধ্যে তার স্বামীর প্রতি নতুন এক অধিকারবোধ জন্মেছে, কিন্তু আবির তা বুঝতে চায় না।

সেদিন রাতে, যখন দুজনেই এক বিছানায় শুয়ে ছিল, তিশা এক মুহূর্তে সাহস করে আবিরকে বলল,
— "
আবির, তুমি কি সত্যিই আমাকে এই সম্পর্কের যোগ্য মনে করো না?"

আবির কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল,
— "
তুমি অনেক ছোট, তিশা। আমি চাই না তুমি এমন কোনো অবস্থায় থাকো, যেখানে তুমি নিজেকে কমফোর্টেবল মনে না করো।"

তিশার চোখে পানি চলে এল। "তুমি কি কখনো আমাকে বউ হিসেবে মেনে নেবে?"
আবির এক পা পিছিয়ে গেল, ভাবলো— "এটা কতটা সত্যি?"

আবিরের অবজ্ঞা আর তিশার প্রশ্ন

এদিকে, কয়েকদিন ধরে দুজনের মধ্যে তেমন কোনো কথা হয়নি। তিশা ঠিক করে ফেলেছেএবার আবিরের প্রতি আর কোনো অনুভূতি রাখবে না। কিন্তু হৃদয়ের অনুভূতি কি এভাবে বদলানো যায়?

একদিন, রান্নাঘরে নাশতা বানাতে গিয়ে তিশা হাতে আঘাত পেল। আবির দৌড়ে এসে হাত ধরে ওষুধ লাগানোর সময়, তিশা বলল,
— "
তোমাকে তো কিছুই যায় আসে না, তাই না? আমার হাত পুড়ুক বা মন, তোমার কিছু আসে যায় না!"
আবির দ্রুত বলল,
— "
এভাবে কথা বলো না, তিশা। আমি বুঝতে পারি, কিন্তু আমি জানি না কেন আমি চুপ থাকি।"

আবিরের মনোভাব বদলানো শুরু

একদিন, অফিস থেকে ফিরে আবির তিশার দিকে তাকিয়ে ছিল কিছুক্ষণ। সে নিজেই বুঝতে পারছিল, তিশার প্রতি তার অনুভূতিগুলো বদলাচ্ছে। কিন্তু, সে কি এগুলো তিশাকে বলবে?


ভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

অনুভূতির স্বীকারোক্তি সম্পর্কের নতুন মোড়

আবিরের অনুভূতি বদলানো

আবির অনুভব করতে শুরু করেছে, তিশার প্রতি তার মন অস্থির হয়ে উঠছে। একদিন, বন্ধুদের আড্ডায় সে বলল,
— "
আবির, তুই তো বদলে গেছিস!"
আবির একটু হেসে বলল,
— "
ব্যস্ততা বেড়েছে, বন্ধু!"
কিন্তু নিজের মনেই সে স্বীকার করলতিশা তার জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

তিশার রাগ এবং আবিরের অনুভূতির প্রকাশ

সেদিন রাতে আবির বাসায় ফিরতে দেরি করল। তিশা চুপচাপ ছিল। আবির বুঝতে পারল, এই চুপচাপটাই আসলে বিপদের সংকেত।
— "
তুমি কি রাগ করেছো?"
তিশা কিছু বলল না। তবে আবির আরো গভীরভাবে বলল,
— "
তোমার না বলা কথাগুলো আমি বুঝতে পারি, তিশা।"

তারপর, আবির আরো এক ধাপ এগিয়ে বলল,
— "
তুমি কি জানো, তোমার না থাকাটা এখন কেমন অস্থির করে তোলে আমাকে?"
তিশার হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে গেল।
— "
মানে?"
— "
মানে, আমি তোমাকে মিস করি।"

নতুন অনুভূতির উপলব্ধি

তিশা অবাক হয়ে গেল! আবির কি সত্যিই মিস করার কথা বলল?

আবির একটু লজ্জা পেয়েই বলল,
— "
তুমি যেমন আমাকে নিয়ে ভাবো, আমিও তোমাকে নিয়ে ভাবি। তোমার হাসি, রাগ, ছোট ছোট অভিমানএসবই আমার জীবনের বড় অংশ হয়ে গেছে।"

তিশা খুব ধীরে ধীরে বলল,
— "
তাহলেআমি তোমার জন্য স্পেশাল?"
আবির মুচকি হেসে বলল,
— "
তুমি কি মনে করো?"

তিশা চুপ করে থাকল, আবিরের দিকে তাকিয়েভালোবাসায়, বিস্ময়ে, আর এক নতুন অনুভূতিতে!


না বলা কথার গভীরতা

একটি নতুন চমক

তিশা আবিরের কথাগুলোর গভীরতা অনুভব করছে, কিন্তু যখন সে সকালে আবিরকে খুঁজল, সে বাসায় ছিল না। এক মুহূর্তে তার বুক ধক করে উঠল। কোথায় চলে গেল আবির?

তিশা দ্রুত ফোন করল,
📞 "তুমি কোথায়?"
আবির একটু হেসে বলল,
📞 "তোমাকে চমক দিতে গেছি!"
তিশা অবাক হয়ে গেলকী চমক?

) আবিরের ভালোবাসার প্রথম উপহার

এক ঘণ্টা পর আবির বাসায় ফিরল। হাতে কিছু শপিং ব্যাগ। তিশা অবাক হয়ে বলল, — "এগুলো কী?"

আবির মুচকি হেসে ব্যাগগুলো ওর দিকে বাড়িয়ে দিল।
— "
তোমার জন্য কিছু এনেছি!"

তিশার চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে গেল!
— "
আমার জন্য?"

— "হ্যাঁ! তোমার প্রথম উপহার!"

তিশা কৌতূহল নিয়ে ব্যাগ খুলল। ভিতরে ছিল এক সুন্দর সালোয়ার কামিজ, একটি ছোট্ট ব্রেসলেট, আর এক প্যাকেট চকলেট!

তিশার মুখ হাসিতে ভরে গেল!
— "
তুমি আমার জন্য এটা এনেছ?"

আবির মাথা চুলকে বলল,
— "
তুমি তো সবসময় বলো আমি তোমাকে সময় দেই না, তোমার কথা ভাবি নাতাই প্রমাণ দিলাম!"

তিশা আবিরের দিকে তাকিয়ে রইল। কীভাবে একটা মানুষ এভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়?
এই কি সেই আবির, যে বলত "তুমি ছোট?"
এই কি সেই আবির, যে সম্পর্কটাকে শুধুই দায়িত্ব মনে করত?

তিশার মনে হচ্ছিল, আজ আবিরকে সে নতুন করে চিনছে।


শিশির ভেজা ভালোবাসা.ভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

 নতুন অনুভূতির প্রথম স্পর্শ

তিশা ব্রেসলেটটা হাতে পরল।
— "
খুব সুন্দর!"

আবির হেসে বলল,
— "
ঠিক আছে, এখন খুশি?"

তিশা মুচকি হেসে বলল,
— "
হুম! কিন্তু চকলেট কেন?"

আবির মজা করে বলল,
— "
তুমি তো বাচ্চা, তাই চকলেট দিলাম!"

তিশা সঙ্গে সঙ্গে রেগে গিয়ে বলল,
— "
আবার বললে কিন্তু আমি রাগ করব!"

আবির হাসতে হাসতে বলল,
— "
আচ্ছা, ঠিক আছে, আমার ম্যাডাম আর বাচ্চা না! এখন সত্যিকারের বড় হয়ে গেছে!"

তিশা মুখ বাঁকিয়ে বলল,
— "
হ্যাঁ, আমি এখন অনেক বড়!"

কিন্তু আবির হঠাৎ গভীরভাবে তিশার দিকে তাকাল।
— "
হ্যাঁ, তুমিও আস্তে আস্তে বড় হচ্ছো। আর আমি হয়তো তোমাকে সত্যি সত্যি নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভাবতে শুরু করেছি…"

তিশার বুকের ভিতর ধক করে উঠল!

এই কথাটার মানে কী?

আবির কি সত্যিই ওকে ভালোবেসে ফেলেছে?

ভালোবাসার অজানা গন্তব্য

তিশা জানে না, আবিরের কথাগুলো কেন ওর এতটা গভীরে গিয়ে লাগছে।
👉 "তুমি পালিয়ে লাভ নেই! একদিন তো বলতেই হবে, তুমি আমায় ভালোবাসো কিনা!"

এই কথাটার মানে কী?

তিশা কি সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছে? নাকি এটা শুধুই বাচ্চাসুলভ একটা অনুভূতি?

সে উত্তর জানে না।
সারারাত ওর ঘুম এল না। ঘুম আসবে কীভাবে? ওর ভেতরে আজ এক ঝড় বইছে!

আবিরের স্বীকারোক্তি: সম্পর্কের নতুন দিক

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখল, আবির ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তিশা ধীর পায়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
— "
আবির…"

আবির তাকাল।
— "
হুম?"


ভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

তিশা দ্বিধায় পড়ে গেল। সে কি বলবে? কেমন করে বলবে?

কয়েক সেকেন্ডের নীরবতার পর, তিশা চোখ বন্ধ করে বলল,
— "
আমিআমি জানি না এটা ভালোবাসা কিনা, কিন্তু আমি চাই না তুমি আমার জীবন থেকে চলে যাও!"

আবির একটু অবাক হলো, তারপর ধীরে ধীরে হাসল।
— "
তুমি কি বুঝতে পেরেছ, তিশা? আমি কখনো তোমার জীবন থেকে চলে যেতে চাইনি!"

তিশা একদম চুপ হয়ে গেল।
আবির তখন ওর দিকে এগিয়ে এসে আস্তে করে বলল,
— "
ভালোবাসা কি শুধু কথায় হয়? আমি তো অনেক আগেই তোমার পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি!"

তিশা শ্বাস আটকে তাকিয়ে থাকল।

আবির ওর কপালে হাত রাখল,
— "
তুমি ছোট ছিলে, তাই অপেক্ষা করছিলাম, বুঝতে দিচ্ছিলাম না। কিন্তু আজ থেকে, আর কোনো লুকোচুরি না, ঠিক আছে?"

তিশার চোখ জলে ভরে গেল।

এটা কি ভালোবাসার গল্পের শেষ?

না, এটা তো তাদের একসঙ্গে পথচলার শুরু!

চিরকাল একসঙ্গে: আবির এবং তিশার নতুন অধ্যায়

বাইরে তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে।
তিশা আর আবির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিল, নিঃশব্দে, পাশাপাশি।

আবির আস্তে করে বলল,
— "
তুমি বর্ষার শিশিরের মতো, তিশাআস্তে আস্তে এসে মন ছুঁয়ে দিলে।"

তিশা মৃদু হাসল।
সে হয়তো এখনো জানে না এটা ভালোবাসা কিনা, কিন্তু সে জানেএই মানুষটার হাত সে কোনোদিন ছাড়তে চায় না!

m️ore.......................

 

শিশির ভেজা ভালোবাসা, ভালোবাসার গল্প, আবির ও তিশার সম্পর্কের নতুন অধ্যায়