- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অদ্ভুত এক চুক্তি
রাত তখন ঠিক ১১টা। শহরের ব্যস্ততা কমে এসেছে, কেবলমাত্র রাস্তার বাতিগুলো টিমটিম করে জ্বলছে। একটা ক্যাফের কর্নারে বসে আছে তিতাস, এক হাতে কফির কাপ, অন্য হাতে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে। চোখে কিছুটা ক্লান্তি, কিন্তু মুখে এক ধরনের আত্মবিশ্বাসের ছাপ।
হঠাৎ সামনের চেয়ারটা টেনে নিয়ে বসলো নীরা। তার চোখে একটা অদ্ভুত শীতলতা, ঠোঁটে অল্প হাসি, যেন কোনো কৌশল রচনা করছে মনে মনে।
— "আমি দেরি করিনি, তুমি একটু আগে এসেছো।" নীরা বললো, কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে।
তিতাস একবার তাকালো তার দিকে, তারপর হালকা হেসে বললো, "আমি সবসময় সময়ের আগেই পৌঁছে যাই। এটা আমার অভ্যাস।"
— "ভালো অভ্যাস। তবে আসল কথায় আসি, তুমি বলেছিলে একটা ‘ডিল’ আছে আমার জন্য?"
তিতাস এবার ফোনটা টেবিলে রাখলো। গভীর চোখে তাকিয়ে বললো, "হ্যাঁ, আমার একটা প্রস্তাব আছে। আমরা একটা চুক্তি করতে পারি।"
নীরা একদম নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললো, "কী চুক্তি?"
তিতাস একটা নোটবুক বের করলো, তারপর বললো, "আমরা দুজন, তিন মাসের জন্য একটা সম্পর্ক চালাবো। ঠিক যেমনটা একজন প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে হয়।"
নীরার ভ্রু কুঁচকে গেল। "তুমি মজা করছো?"
— "একদম না। এটা একটা সিরিয়াস অফার। তুমি জানো, আমি কোনো আবেগের মানুষ নই। প্রেমে বিশ্বাস করি না। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার জীবনে একজন ‘গার্লফ্রেন্ড’ থাকা জরুরি।"
— "কেন?"
তিতাস একগাল হাসলো, "আমার পরিবার আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি যদি প্রমাণ করতে পারি যে আমি ইতিমধ্যেই একটা সম্পর্কে আছি, তাহলে অন্তত কিছুদিনের জন্য এই চাপ থেকে মুক্তি পাবো।"
নীরা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো, তারপর বললো, "তাহলে তুমি বলছো, আমি তোমার ‘নকল’ গার্লফ্রেন্ড হবো?"
— "ঠিক তাই।"
— "এর বদলে আমি কী পাবো?"
তিতাস এবার একটু গম্ভীর হলো। "তুমি কী চাও?"
নীরা এবার হালকা হাসলো, "তিন মাস পর যখন এই সম্পর্ক শেষ হবে, তখন আমি তোমার কোম্পানির কনট্র্যাক্ট পেতে চাই।"
তিতাস অবাক হলো। নীরা আগে থেকেই ভালো জানতো যে সে কী চাইছে।
— "বুদ্ধিমান! তাহলে তোমার লক্ষ্য আমার ব্যবসার কনট্র্যাক্ট?"
— "তুমি জানো আমি একজন উদ্যোক্তা। আমার নতুন স্টার্টআপের জন্য বড় ইনভেস্টমেন্ট দরকার। তোমার কোম্পানি যদি আমাদের পার্টনার হয়, তাহলে আমার বিজনেস দাঁড়িয়ে যাবে।"
তিতাস কিছুক্ষণ ভাবলো, তারপর বললো, "ঠিক আছে। তাহলে আমরা একটা চুক্তিতে আসতে পারি। তিন মাস আমরা সম্পর্কে থাকবো, তুমি আমার পরিবারের সামনে প্রেমিকার মতো আচরণ করবে। এর বিনিময়ে, তুমি কনট্র্যাক্ট পাবে।"
নীরা ঠোঁট কামড়ে হালকা হাসলো। "একটা কথাই বলবো, এটা শহরের সবচেয়ে অদ্ভুত প্রেমের গল্প হতে যাচ্ছে!"
একটা সাজানো সম্পর্কের শুরু
পরের কয়েকদিন নীরা আর তিতাস একসঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করলো। তাদের মধ্যে কোনো আবেগ নেই, কোনো প্রেমের অনুভূতি নেই, কিন্তু বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না।
তিতাসের পরিবার প্রথমে সন্দেহ করেছিল, কিন্তু নীরার বুদ্ধিমত্তা আর স্মার্টনেস দেখে তারা ধীরে ধীরে মেনে নিতে শুরু করলো।
একদিন তিতাসের মা বললেন, "নীরা, তিতাস খুব গম্ভীর মানুষ। ওকে বোঝা কঠিন। তুমি কি সত্যিই ওকে পছন্দ করো?"
নীরা একটু হেসে বললো, "আমি জানি ও কঠিন, কিন্তু কিছু মানুষ বাইরে কঠিন হলেও ভেতরে নরম হয়। আমি তিতাসকে বুঝতে চাই।"
তিতাস দূর থেকে শুনছিল, সে একটু থমকে গেল। এই সম্পর্কটা তো শুধু একটা চুক্তি ছিল, কিন্তু কেন যেন তার মনে হলো নীরা আসলেই তার সম্পর্কে কিছু অনুভব করতে শুরু করেছে।
তিন মাসের সম্পর্কটা কি সত্যিই একটা সাজানো খেলা, নাকি এর মধ্যে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে?
চুক্তির বাঁধন থেকে হৃদয়ের টান
তিন মাসের সম্পর্কের দুই মাস পার হয়ে গেছে। নীরা আর তিতাস দুজনেই জানে, এই সম্পর্কটা শুধু একটা চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু তাদের প্রতিদিনের হাসি-ঠাট্টা, পরিকল্পিত প্রেমিক-প্রেমিকার অভিনয় আর একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো যেন ধীরে ধীরে কিছু বদলে দিচ্ছে।
তিতাস কখনো ভাবেনি, কারো সঙ্গে সকালবেলা কফি খেতে বসে রোজকার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা বলা এতটা স্বাভাবিক লাগবে। নীরাও বুঝতে পারছিল, তিতাসের ঠান্ডা ও যুক্তিবাদী মনোভাবের আড়ালে একটা গভীর অনুভূতি আছে, যা সে কখনো প্রকাশ করতে চায় না।
একদিন বিকেলে, তারা দুজন পার্কে হাঁটছিল। নীরা হঠাৎ বললো,
— "তোর কী মনে হয়, আমাদের এই সম্পর্কটা সত্যি হলে কেমন হতো?"
তিতাস একটু থমকালো, তারপর বললো, "মানে?"
— "মানে, ধর যদি এটা একটা চুক্তির সম্পর্ক না হতো, তাহলে কি তুই সত্যি আমাকে ডেট করতি?"
তিতাস কিছু বললো না, শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো।
— "কেন? উত্তর দিতে এত ভাবছিস কেন?" নীরা ঠোঁট উল্টে বললো।
— "কারণ আমি জানি না।" তিতাস হেসে বললো। "আমি তো ভালোবাসায় বিশ্বাস করি না।"
নীরা একটু বিরক্ত হলো, "বাহ, খুব ভালো! তোর বিশ্বাস না থাকার কারণেই তো এই অদ্ভুত ডিলটা করতে হয়েছে!"
তিতাস এবার একটু গভীরভাবে তাকালো তার দিকে, "তুই সত্যি কখনো ভাবিসনি, আমি তোর জন্য অনুভব করতে পারি?"
নীরা চমকে গেল।
— "মানে?"
— "মানে, আমি যদি বলি, এই চুক্তির মধ্যেও, আমি তোকে একটু অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছি?"
নীরার বুক ধক করে উঠলো।
— "তুই... মজা করছিস না তো?"
তিতাস মাথা নাড়লো, "একদম না।"
নীরার হৃদস্পন্দন যেন বাড়তে লাগলো। এই সম্পর্ক তো কেবল একটা লেনদেন ছিল! এখানে সত্যিকারের ভালোবাসা আসার কথা ছিল না!
একটা সত্য, একটা স্বীকারোক্তি
পরদিন, তিতাসের মা হঠাৎ নীরাকে একপাশে ডেকে বললেন,
— "তিতাস তোকে নিয়ে সিরিয়াস, নীরা। আমি সেটা বুঝতে পারছি।"
নীরা অবাক হয়ে তাকালো, "আপনি কেন এ কথা বলছেন?"
— "কারণ ও যখন সত্যি কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চায় না, তখন কখনো এমন করে সময় দেয় না, যত্ন নেয় না।"
নীরার বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা অস্থিরতা কাজ করলো। সত্যিই কি তিতাস বদলে গেছে?
সে সিদ্ধান্ত নিল, তাকে নিজেই একটা পরীক্ষা করতে হবে।
সেদিন রাতে, তিতাসকে ফোন দিল নীরা।
— "তোর একটা সত্যি কথা বলার সময় এসেছে, তিতাস।"
— "কী সত্যি?"
— "তুই কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিস?"
তিতাস চুপ করে গেল। নীরার মনে হচ্ছিল, কয়েক মুহূর্ত যেন কয়েক ঘণ্টার সমান দীর্ঘ।
— "আমি জানি না। কিন্তু আমি তোকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারছি না।"
নীরার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
— "তাহলে ডিলটা শেষ হওয়ার পরও কি আমরা থাকবো?"
— "ডিলের কোনো মানে নেই যদি এটা সত্যি হয়, তাই না?" তিতাস এবার একটু মুচকি হেসে বললো।
হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা
তিন মাস শেষের দিকে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিতাস আর নীরা দুজনেই অনুভব করতে পারলো, তাদের মধ্যে কেবল এক চুক্তির সম্পর্ক নেই, বরং সত্যিকারের অনুভূতি জন্ম নিয়েছে।
তবে নীরা জানে, এই সম্পর্কটা যতই গভীর হোক না কেন, কিছু বাস্তবতা বদলানো যায় না।
এক সন্ধ্যায়, তিতাস নীরাকে ডেকে বললো,
— "আমি চাই, ডিলটা এখানেই শেষ হোক।"
নীরা চমকে গেল, "মানে? তুমি কি আবার নিজের পুরোনো জীবনে ফিরে যেতে চাও?"
তিতাস একটু চুপ থেকে বললো, "আমি...আমি চাইলেও কিছু জিনিস আমার হাতে নেই, নীরা।"
নীরা কিছু বুঝতে পারছিল না। সে তিতাসের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলো, সেখানে এক অদ্ভুত শূন্যতা, যেন সে অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না।
— "তুই কি আমাকে ভালোবাসিস না?" নীরার কণ্ঠস্বর কাঁপছিল।
তিতাস দীর্ঘশ্বাস ফেললো, "ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি। কিন্তু..."
— "কিন্তু কী, তিতাস? বল, প্লিজ!"
তিতাস মাথা নিচু করে বললো, "আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, নীরা।"
নীরার মনে হলো, কেউ যেন এক ঝটকায় তার পুরো পৃথিবীটা ওলটপালট করে দিলো।
— "বিয়ে? কখন? কিভাবে?"
তিতাসের কণ্ঠ ভারী হয়ে উঠলো, "আমার বাবা-মা অনেক আগেই কথা দিয়েছে। আমি চাইলেও এখন কিছু করতে পারবো না।"
নীরা এবার হাসলো, কিন্তু সেই হাসিতে শুধু কষ্টের ছোঁয়া ছিল।
— "তাহলে তুই এতদিন আমার সাথে নাটক করছিলি?"
তিতাস মাথা নাড়লো, "না, কখনোই না! আমি তোকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, নীরা। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের ইচ্ছাকে মানে না।"
নীরা চোখের পানি আটকানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু পারলো না।
— "তাহলে তুই আমাকে কেন বললি না আগেই?"
তিতাস কোনো উত্তর দিতে পারলো না।
কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর নীরা উঠে দাঁড়ালো।
— "তিতাস, তোর জন্য আমি একটা ডিল করেছিলাম। কিন্তু ভালোবাসা কোনো ডিল নয়, এটা অনুভূতির ব্যাপার। তুই আমাকে ভালোবেসেছিলি, আমি তোকে ভালোবেসেছিলাম... কিন্তু আমাদের কপালে একসঙ্গে থাকা লেখা ছিল না।"
তিতাস কিছু বলার চেষ্টা করলো, কিন্তু নীরা মাথা নেড়ে থামিয়ে দিলো।
— "ভালো থাকিস, তিতাস। হয়তো কোনো একদিন, কোনো এক জগতে, আমরা সত্যি সত্যি একসঙ্গে থাকতে পারবো। কিন্তু এই জীবনে... আমরা দুজন দুইটা ভিন্ন গল্প হয়ে থাকবো।"
তারপর নীরা চলে গেল।
তিতাস সেদিন কিছুই করতে পারলো না, শুধু তাকিয়ে রইলো নীরার চলে যাওয়া পথের দিকে।
ভালোবাসা জিতলো, কিন্তু তবুও তারা এক হলো না..
ভুল সময়ে ভালোবাসা
নীরা চলে যাওয়ার পর, তিতাসের জীবন যেন থমকে গেল। প্রতিদিন সে মনে মনে নীরাকে খোঁজে, কিন্তু বাস্তবে খুঁজে পায় না। সে জানে, তার সিদ্ধান্তই তাদের আলাদা করেছে, কিন্তু কিছু দায়িত্ব, কিছু শেকল এত সহজে ভাঙা যায় না।
নীরাও পাল্টে গেছে। সে তিতাসকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে কাজে। তার স্টার্টআপ এখন সফলতার পথে, তিতাসের কোম্পানির কনট্র্যাক্ট না পেলেও সে নিজের জায়গা করে নিয়েছে ব্যবসার জগতে। কিন্তু রাতের নিরবতায়, একা থাকলে, তার বুকের ভেতর হাহাকার জাগে।
অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ
দুই বছর পর।
এক সন্ধ্যায়, তিতাস একটি ফাইভ-স্টার হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতের গ্লাসে হুইস্কি, চোখ হারিয়ে গেছে শহরের আলোয়।
— "তিতাস?"
পেছন থেকে একটা চেনা কণ্ঠ শুনে সে ধীরে ঘুরলো।
নীরা!
সে পাল্টে গেছে— আগের চেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী, আরও স্বাধীন। কিন্তু চোখের গভীর শূন্যতা বলে দিচ্ছে, কিছু অনুভূতি এখনো চাপা পড়ে আছে।
— "তুই এখানে?" তিতাস বিস্মিত কণ্ঠে বললো।
— "একটা বিজনেস মিটিং ছিল। তুই?"
— "আমারও।"
কিছুক্ষণ নীরবতা। বাতাসে শুধু দূরের সিগন্যালে বাজতে থাকা গাড়ির হর্ন।
— "তুই কেমন আছিস?" তিতাস আস্তে করে জিজ্ঞেস করলো।
নীরা হাসলো, খুব স্বাভাবিক একটা হাসি, তবু তিতাসের মনে হলো, এই হাসির আড়ালে হাজারটা চাপা প্রশ্ন লুকিয়ে আছে।
— "ভালো। তুই?"
— "ভালো থাকার অভিনয় করছি।"
নীরা একটু থামলো, তারপর সরাসরি তিতাসের চোখে চোখ রেখে বললো,
— "তুই সুখী?"
তিতাসের মুখ শক্ত হয়ে গেল। সে কি সত্যিই সুখী? তার স্ত্রী খুব ভালো একজন মানুষ, সংসারও ঠিকঠাক চলছে। কিন্তু তার মনের কোনো এক অংশ এখনও নীরার কাছে আটকে আছে।
সে উত্তর দিল না। নীরাও উত্তর চাইল না।
শেষ অধ্যায়
সেদিন আর কথা হয়নি। দুজন আলাদা হয়ে গেল আবার, নিজেদের জগতে ফিরে গেল।
কিন্তু পরের দিনই খবর এলো— নীরা আর নেই!
একটা গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলে, এটা নিছক দুর্ঘটনা, কেউ বলে, সে নিজেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল...
তিতাস খবরটা শুনে ভেঙে পড়লো। মনে হলো, তার সবকিছু এক নিমিষে শেষ হয়ে গেল।
বছরের পর বছর কেটে গেল, কিন্তু তিতাস আর কখনো স্বাভাবিক হতে পারলো না। সে হয়তো বেঁচে থাকলো, কিন্তু তার ভেতরে থাকা একটা অংশ চিরদিনের জন্য মরে গেল— ঠিক যেমন নীরা তার জীবনের ভুল সময়ে এসেছিল, তেমনই ভুল সময়েই চলে গেল...
একটা অসমাপ্ত গল্প, যে গল্পের শেষটা কখনো ঠিকমতো লেখা হলো না।
ভালোবাসা ছিল, কিন্তু সময় ঠিক ছিল না... আর তাই, তারা কোনোদিন এক হতে পারলো না। 💔
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ